শহরে পুরানো রেল সেতু দিয়ে যানবাহনের যাতায়াত সম্পূর্ণ বন্ধ : নতুন সেতু দিয়েই যাতায়াত

27th December 2020 10:31 pm বর্ধমান
 শহরে পুরানো রেল সেতু দিয়ে যানবাহনের যাতায়াত সম্পূর্ণ বন্ধ : নতুন সেতু দিয়েই যাতায়াত


নিজস্ব সংবাদদাতা ( বর্ধমান ) : বর্ধমান জংশন স্টেশনের পুরানো রেল সেতু দিয়ে যানবাহনের যাতায়াত সম্পূর্ণ রূপে বন্ধ করে দেওয়া হল । এখন থেকে সমস্ত যানবাহনের যাতায়াতে ব‍্যবহার হবে নবনির্মিত ঝুলন্ত রেল সেতুটি । এতদিন পর্যন্ত পুরানো রেল সেতু দিয়ে মটোরবাইক , রিক্সা , ভ‍্যান রিক্সা , টোটো যাতায়াত করছিল । কিন্তু এবার শুধুমাত্র পায়ে হেঁটে ছাড়া আর যাতায়াত করা যাবে না বর্ধমান শহরের অতি গুরুত্বপূর্ন পুরানো রেল সেতু দিয়ে । বর্ধমান শহরে কাটোয়া , কালনা দিকে যাতায়াত করতে হলে নবনির্মিত রেল সেতু ই সমস্ত যানবাহনকে ব‍্যবহার করতে হবে । পুরানো রেল সেতু র উভয় দিকেই লোহার পিলার দিয়ে যাতায়াতের রাস্তা ঘিরে দেওয়া হয়েছে । এমনভাবে লোহার পিলার দিয়ে দেওয়া হয়েছে সাইকেল নিয়েও আর যাতায়াত করা কষ্টকর বলছেন স্থানীয়রা । সম্প্রতি রেল প্রশাসনের সাথে জেলা প্রশাসনের একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় পূর্ব বর্ধমানের জেলা শাসকের দপ্তরে । সেখানেই রেল আধিকারিকরা সেতুটির বর্তমান অবস্থা অত‍্যন্ত খারাপ বলে জানান । মাঝে মধ‍্যেই রেল লাইনের উপরে সেতু থেকে চাঙর খসে পড়ছে । সেতুর নীচে দিয়েই রয়েছে উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন বিদ‍্যুতের তার । তাই বড়সড় বিপদ হবার আগেই যাতায়াত সম্পূর্ণ বন্ধ করে দিল প্রশাসন । ইতিপূর্বে পুরানো রেল সেতুটি বন্ধ করার জন‍্য নোটিশ জারি করলেও রেলের বিরুদ্ধে ডান বাম বিভিন্ন সংগঠন সরব হয় । বিকল্প ব‍্যবস্থা তৈরী না করে পুরানো রেল সেতু বন্ধ করে দিলে বহু মানুষ সমস‍্যায় পড়বেন । বিশেষত রিক্সা বা ঠেলা গাড়ি বা টোটো করে যারা বাজেপ্রতাপপুর বা সাধনপুর এর দিক থেকে আসবেন তাদের অনেক উঁচু পথ ঘুরে অনেকটা ঘুরে ঝুলন্ত সেতু দিয়ে আসতে হবে বর্ধমান শহরের অভ‍্যন্তরে কার্জন গেট অভিমুখে । এরফলে মারাত্মক অসুবিধার মধ‍্যে পড়তে হবে বলে জানানো হয়েছিলো । কিন্তু পুরানো রেল সেতুর অবস্থার কথা বিবেচনা করে যানবাহনের চাপ কমাতে পায়ে হেঁটে ছাড়া সমস্ত রকমের যাতায়াত বন্ধ করে দেওয়া হল । তৃণমূল শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসি র জেলা সভাপতি ইফতিকার আহমেদ জানিয়েছেন , এমনভাবে  রেলিং দেওয়া হয়েছে সাইকেল নিয়েও যাতায়াত করা যাবে না । খুব ই অসুবিধার মধ‍্যে পড়তে হল একাংশ শহরবাসীকে । ফুট ব্রীজ তৈরী করার কথা অবশ‍্য বলা হয়েছে । সেটা দ্রুত তৈরী হলে কিছুটা সমস‍্যা হয়তো সমাধান হতে পারে । তবে এই পরিস্থিতি অনেকটাই অসুবিধা তৈরী করলো বলে জানিয়েছেন তিনি । 





Others News

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) : প্রায় এক বছর আগে আবেদন করেও মেয়ের জাতিগত শংসাপত্র মেলেনি । আবেদনকারীদের জাতি শংসাপত্র দেওয়ার
ক্ষেত্রে দেরি করা যাবেনা বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।কিন্তু বাস্তবে ঠিক তার উল্টোটাই ঘটে চলেছে।প্রায় এক বছর আগে  চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে  আবেদন করেছিলেন মা।কিন্তু মেয়ে কে পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসলেও জাতি  শংসাপত্র আজও না মেলায় কার্যত হতাশ হয়ে পড়েছেন পূর্ব বর্ধমানের মেমারির রাধাকান্তপুর নিবাসী ঊর্মিলা দাস।ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য ঊর্মিলাদেবী বৃহস্পতি বার মেমারি ১ ব্লক বিডিও অফিসে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন। শংসাপত্র পাবার জন্য বিডিও সাহেব কি ব্যবস্থা করেন সেদিকেই এখন তাকিয়ে ঊর্মিলাদেবী। 

বিডিওকে লিখিত আবেদনে ঊর্মিলাদেবী জানিয়েছেন ,তাঁর স্বামী মানিক দাস দৃষ্টিহীন প্রতিবন্ধী ।বছর ১০ বয়সী তাঁদের একমাত্র কন্যা গ্রামের বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত কালে তাঁর ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য তিনি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারী আবেদন করেছিলেন।  উর্মিলাদেবী বলেন ,তার পর থেকে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে  গেলেও তিনি তাঁর মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পান না।মেয়ের পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসায় গত অক্টোবর মাসের শেষের দিকে তিনি শংসাপত্রের বিষয়ে মেমারি ১ ব্লকের বিডিও অফিসে খোঁজ নিতে যান।জাতি শংসাপত্র বিষয়ের বায়িত্বে থাকা বিডিও অফিসের আধিকারিক তাঁকে অনলাইনে এই সংক্রান্ত একটি নথি বের করে আনতে বলেন । অনলাইনে সেই নথি বের করেনিয়ে তিনি ফের ওই আধিকারিকের কাছে যান । তা দেখার পর ওই আধিকারিক তাঁকে  ২০ দিন বাদে আসতে বলেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন , তিনি ২৫ দিন বাদে যাবার পর ওই আধিকারিক তাঁকে গোপগন্তার ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে গিয়ে খোঁজ নেবার কথা বলেন । তিনি এরপর গ্রামপঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যান । নথি ঘেঁটে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে কোন ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি।ঊর্মিলাদেবী দাবী করেন ,এই ভাবে তিনি একবার বিডিও অফিস , আবার পঞ্চায়েত অফিসে দরবার করে চলেন । কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছু হয় না। মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য  গত ১৩ ডিসেম্বর ফের তিনি বিডিও অফিসে যান ।ওই দিনও বিডিও অফিসের জাতি শংসাপত্র বিষয়ক বিভাগের আধিকারিক তাঁকে একই ভাবে পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যেতে বলে দায় সারেন। পরদিন তিনি পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে গেলে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ ফের জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে  ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি । কেন মেয়ের জাতি শংসাপত্র পাচ্ছেন না সেই বিষয়ে  না পঞ্চায়েত না ব্লক প্রশাসনের কর্তৃপক্ষ কেউই তাঁকে কিছু জানাতে পারেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন ,পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির আগে তার মেয়ে যাতে ওবিসি শংসাপত্র পেয়ে যায় তার ব্যবস্থা করার জন্য এদিন তিনি বিডিওর কাছে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন । মেমারী ১ ব্লকের বিডিও আলী মহম্মদ ওলি উল্লাহ এদিন বলেন ,“জাতি শংসাপত্র পাবার জন্য হাজার হাজার আবেদন জমা পড়ছে । তবে ঊর্মিলাদেবীর কন্যা দ্রুত যাতে বিবিসি শংসাপত্র দ্রুথ পান সেই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে “। মেমারির বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য্য বলেন,’মেমারি  বিধানসভা এলাকার আবেদনকারীরা দ্রুত যাতে জাতি শংসাপত্র পান সেই বিষয়ে প্রশাসনকে আরও তৎপর হওয়ার কথা বলবো’।